পৌরানিক কাহিনীমহাভারতহিন্দু ধর্মের অজানা কাহিনী

জানুন মহাভারতের অজানা চরিত্র আহিল্যাবতী সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য!

জানুন মহাভারতের অজানা চরিত্র আহিল্যাবতী সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য!

মহাভারতের নারী চরিত্রের কথা মনে এলেই প্রথমেই চোখে ভেসে ওঠে দ্রোপদীর নাম। দ্রোপদী নিঃসন্দেহে এই মহাকাব্যের প্রধান নারী চরিত্র। তবে দ্রোপদী ছাড়াও মহাভারতে আরো এমন অনেক নারী চরিত্র রয়েছে, যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও মহাকাব্যে তারা এক প্রকার উপেক্ষিতা হয়েই থেকে গিয়েছেন।

মহাভারতের এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র আহিল্যাবতী। পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম ভীম একবার রক্ষা পেয়েছিলেন এই নাগকন্যার জন্য। সর্পরাজ বাসুকীর ঔরসজাত কন্যা আহিল্যাবতী। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী, বুদ্ধিমতী ও প্রতিভাবান। নিজ পুত্রকে তিনি নিজ হাতে অস্ত্রবিদ্যা শিখিয়েছিলেন।

আরো পড়ুনঃ কেরালার যে মন্দিরে পূজিত হন মহাভারতের শকুনি মামা!

মহাদেব শিবের পুষ্পকানন থেকে ফুল চুরির অপরাধে দেবী পার্বতী, আহিল্যাবতীকে মানবী জন্মের অভিশাপ দেন। তবে এই গল্পের শুরু আরো অনেক আগে। তখন পঞ্চপাণ্ডব ছোট। শকুনির কু মন্ত্রনায় ভীমকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান দুর্যোধন। অতঃপর ভীমকে নদীর জলে ফেলে দেন।

বিষক্রিয়ায় অচেতন ভীম এসে পৌছান নাগরাজ্যে। সেখানে আহিল্যাবতী ভীমকে দেখেই পঞ্চপাণ্ডব হিসেবে চিনতে পারেন। বিষক্রিয়ায় ততোক্ষণে মৃত্যুবরণ করেছেন ভীম। আহিল্যাবতীর অনুরোধে তার পিতা বাসুকী মহাদেবের দেয়া বর ব্যবহার করে ভীমের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

আরো পড়ুনঃ ২০২০ সালের দুর্গাপূজার পূর্ণাঙ্গ নির্ঘন্ট ও সময়সূচী

পরবর্তীকালে মানবীজন্ম নিয়ে ভীমের পুত্র ঘটোত্‍কচের সঙ্গে বিয়ে হয় আহিল্যাবতীর। ঘটোত্‍কচ ও আহিল্যাবতী দম্পতির পুত্র বারবারিক। আহিল্যাবতী নিজেই পুত্রকে যুদ্ধবিদ্যা শেখান। বারবারিকের নৈপুণ্যে খুশি হয়ে মহাদেব তাঁকে তিনটি অসাধারণ তীর উপহার দেন এবং অগ্নিদেব উপহার দেন একটি ধনুক।

মহাভারতের যুদ্ধে পাণ্ডবদের পক্ষে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন বারবারিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!