Featuredপূর্ণিমাবাংলা পঞ্জিকা ১৪২৯ব্রত ও উপবাস

গুরু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে? গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়?

গুরুপুর্নিমা একটি সনাতনী বৈদিক প্রথা যার মধ্য দিয়ে শিষ্য তাঁর গুরুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।

গুরু পূর্ণিমা ২০২৩ কবে?

পূর্ণিমাতিথি শুরুতিথি শেষপূর্নিমার উপবাস
গুরু পূর্নিমা ২০২৩০২ জুলাই ২০২৩, রবিবার
08:21 PM
০৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার
05:08 PM
০৩ জুলাই ২০২৩, সোমবার

গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়?

গুরু পূর্ণিমা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই পূর্ণিমাকে আষাঢ়ি পূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে মুণি পরাশর ও মাতা সত্যবতীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি বেদব্যাস। ফলে এই দিনটিকে ‘ব্যাস পূর্ণিমা’-ও বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্মের ১০টি প্রতীক যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা

গুরুপুর্নিমা একটি সনাতনী বৈদিক প্রথা যার মধ্য দিয়ে শিষ্য তাঁর গুরুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক বা গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা বোঝা যায় যখন ছাত্র-শিক্ষক বা গুরু-শিষ্য পরম্পরাকে সম্মানিত করতে একটি দিন উৎসর্গ করা হয়। সেই সময়ের সমাজব্যবস্থায় অন্য কোনও সম্পর্ক এত গুরুত্ব পেত না। গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষ ভাবে নির্ধারণ করে ‘গুরুপূর্ণিমা’ উদযাপন করা হয়।

গুরু শব্দটি সংস্কৃত, ‘গু’ এবং ‘রু’ এই দুটি শব্দ দ্বারা গঠিত। ‘গু’ শব্দের অর্থ অন্ধকার বা অজ্ঞতা এবং ‘রু’ শব্দের অর্থ আলো। অর্থাৎ যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যান তিনিই গুরু। মনের অন্ধকারকে দূর করে শিষ্যকে আলোর পথ দেখান গুরু।

আরো পড়ুনঃ ভগবান কী সত্যি আছেন? আমরা কেন ভগবানকে দেখতে পাইনা?

কোনও কোনও সময় এই পূর্ণিমা শ্রাবণ মাসে পড়ে যায়৷ বৌদ্ধ ধর্মেও গুরুপূর্ণিমার গুরুত্ব অসীম | বলা হয়, বোধিজ্ঞান লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় সারনাথে প্রথম উপদেশ দেন গৌতম বুদ্ধ। আবার হিন্দু পুরাণে আছে শিবের মাহাত্ম্য। মহাদেব হলেন আদি গুরু। তাঁর প্রথম শিষ্য হলেন সপ্তর্ষির সাতজন ঋষি – অত্রি, বশিষ্ঠ, পুলহ, অঙ্গীরা, পুলস্থ্য, মরীচি এবং ক্রতু ( নাম নিয়ে মতভেদ আছে)। আদিযোগী শিব এই তিথিতে আদিগুরুতে রূপান্তরিত হন। তিনি এদিন ওই সাত ঋষিকে মহাজ্ঞান প্রদান করেন। তাই এই তিথি হল গুরুপূর্ণিমা |

ভারতের অনেক জায়গায় গুরু পূর্ণিমাকে মহাঋষি বেদব্যাসের জন্মতিথি হিসেবেও মানা হয়। তিনি ছিলেন ঋষি পরাশর এবং মৎস্যগন্ধা সত্যবতীর সন্তান। জন্মের পরে তাঁকে পরিত্যাগ করেন জন্মদাত্রী সত্যবতী। এই সন্তানই মহাঋষিতে পরিণত হন। তিনি চতুর্বেদের সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেন, ১৮ টি পুরাণ ছাড়াও রচনা করেন মহাভারত এবং শ্রীমদ্ভগবৎ | বলা হয়, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই জন্ম হয়েছিল ব্যাসের। নেপালে এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷

Related Articles

Leave a comment

Back to top button
error: Content is protected !!